মেমোরি


➤➤মেমোরি

যে যন্ত্রাংশের মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত, ছবি, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা যায় তাকে কম্পিউটারের ভাষায় মেমোরি বা স্মৃতি বলে।


মেমোরি সাধারণ ২ প্রকার।
(১) প্রাইমারী মেমোরি (মেইন মেমোরি)
(২) সেকেন্ডারী মেমোরি (সহায়ক মেমোরি)

👉👉 প্রাইমারী মেমোরি (মেইন মেমোরি): কম্পিউটারের সিপিইউ এর সাথে সরাসরি সংযুক্ত যে স্মৃতি চলমান প্রোগ্রাম, ডাটা, নির্দেশ হিসেবের ফলাফল ইত্যাদি সংরক্ষণ করে তাকে প্রাইমারী মেমোরি (মেইন মেমোরি) বলে। যেমন: র‌্যাম, রম।
প্রাইমারী মেমোরি (মেইন মেমোরি) আবার ২ প্রকার।
(ক) র‌্যাম (RAM): র‌্যাম (RAM) কম্পিউটারের একটি অস্থায়ী মেমোরি যার ডাটা কম্পিউটার বন্ধ হলে বা বিদ্যুৎ চলে গেলে ডিলেট হয়ে যায়।
(খ) রম (ROM): কম্পিউটারের একটি স্থায়ী মেমোরি যার ডাটা কম্পিউটার বন্ধ হলে বা বিদ্যুৎ চলে গেলেও ডিলেট হয়ে যায় না।



👉👉সেকেন্ডারী মেমোরি (সহায়ক মেমোরি): কম্পিউটারের যে স্মৃতি ব্যবস্থার সাথে সিপিইউ এর প্রত্যক্ষ সংযোগ থাকে না কিন্তু অধিক পরিমান তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে যে স্মৃতি ব্যবস্থা তাকে সেকেন্ডারী মেমোরি (সহায়ক মেমোরি) বলে। যেমন: হার্ড ডিক্স, ফ্লপি ডিক্স, সিডি ইত্যাদি।
সেকেন্ডারী মেমোরি (সহায়ক মেমোরি) আবার ৪ প্রকার
(ক) H.D.D (হার্ড wW•): হার্ড ডিক্স কম্পিউটারের একটি বৃহৎ ষ্টোরেজ ডিভাইস। হার্ড ডিক্সে অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার থাকে এবং সকল সফটওয়্যার গুলোও হার্ড ডিক্সে ইন্সষ্টল করা থাকে। খুব দ্রুত ফাইল সংরক্ষণ করে এবং স্থায়ী মেমোরি।
(খ) F.D.D: সহজে বহন যোগ্য এক প্রকার মেমোরি। যা দ্বারা কম্পিউটারের ডাটা, প্রোগ্রাম, সফটওয়্যার ইত্যাদি এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে অতি সহজে স্থানান্তর করা যায়।
(গ) CD/DVD: সহজে বহন যোগ্য এক প্রকার মেমোরি। যাতে অডিও, ভিডিও, ছবি, ফাইল, সফটওয়্যার ইত্যাদি সব কিছুই রাখা যায় এবং প্রয়োজনের সময় তা ব্যবহার করা যায়।
(ঘ) Pen Drive: পেনড্রাইভ হচ্ছে সহজে বহন যোগ্য এক প্রকার মেমোরি। যাতে অডিও, ভিডিও, ছবি, ফাইল, সফটওয়্যার ইত্যাদি সব কিছুই রাখা যায় এবং প্রয়োজনের সময় তা ব্যবহার করা যায়। বলতে পারে প্রায় CD/DVD এর মতই।












কোন মেমোরির মৌলিক উদ্দেশ্য হলো (সেটা মানুষের মেমোরি হোক আর কম্পিউটার মেমোরিই হোক) কোন তথ্যকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংরক্ষিত করে রাখা। সবচাইতে মজার ব্যাপার হলো, মানুষের মেমোরি কোন তথ্যকে মনে রাখার চেয়ে কোন তথ্যকে ভুলে যেতেই বেশি পটু। আর এটি হলো আমাদের ঘেলুর সবচাইতে কমজোর দিক। যদি কোন বিষয়কে আপনি মনোযোগ সহকারে না লখ্য করে থাকেন, তবে সেটি ভুলে যাওয়া থেকে আপনাকে আর কেউ রক্ষা করতে পারবে না। আর আমাদের কোন বিষয় সহজে ভুলে যাওয়ার অক্ষমতা থাকার জন্যই—আমরা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অনেক মনোযোগের সহকারে রাখি। ভুলে যাওয়া মানে হলো, কোন পুরাতন আবর্জনা ভর্তি একটি কৌটাকে পরিষ্কার করে আবার নতুন কিছু ভরানোর জন্য প্রস্তুত করা।
কম্পিউটার কখনোই কোন বিষয়কে সেভাবে মনে রাখে বা ভুলে যায়না, যেভাবে মানুষ করে। কম্পিউটার বাইনারি এর উপর কাজ করে; তারা কিছু জানুক বা না জানুক, যদি একবার কম্পিউটার কোন কিছু শিখে নেয়, তবে কোন সর্বনাশা ক্র্যাশ ছাড়া সেটা আর কখনোই ভুলে যায়না। কিন্তু আমরা মানুষেরা একটু আলাদা হয়ে থাকি। আমরা কোন জিনিসকে চিনতে পারি (“আমি মনে হয় এর আগে তোমাকে কোথাও দেখেছিলাম”) অথবা আমাদের মনে হয় যে আমরা সেটা জানি (“আমি প্রথম হিন্দি শব্দ “পেয়ার” শিখেছিলাম, যখন আমি স্কুলে পড়তাম”) এবং প্রয়োজন ছাড়াও আমরা কোন তথ্যকে একত্রিত করতে পারি।

➤Ram এবং Rom  এর মধ্যে পার্থক্য :


Ram= Random Access Memory Rom= Read Only Memory ROM এ ডাটা থাকে স্থায়ী ভাবে। RAM এ ডাটা থাকে অস্থায়ী ভাবে । র‌্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি(ইংরেজি: Random access memory), সংক্ষেপে র‌্যাম (RAM) হল এক ধরনের কম্পিউটারের উপাত্ত (ডাটা) সংরক্ষণের মাধ্যম। র‌্যাম থেকে যে কোন ক্রমে উপাত্ত "অ্যাক্সেস" করা যায়, এ কারণেই একে র‌্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি বলা হয়। র‌্যান্ডম শব্দটি দিয়ে এখানে বুঝানো হয়েছে - যে কোনো উপাত্ত (তার অবস্থানের উপরে নির্ভর না করে) ঠিক একই নির্দিষ্ট সময়ে উদ্ধার করা যায়। রক্ষনাত্নক দৃষ্টিতে, আধুনিক ডির‍্যামগুলো র‍্যান্ডম এ্যাকসেস মেমোরি নয় (যেভাবে এগুলো ডাটা রিড করতে পারে)। একইসাথে, বিভিন্ন ধরনের এসর‍্যাম, রম, ওটিপি এবং নর ফ্ল্যাশ ইত্যাদি র‍্যান্ডম এ্যাকসেস মেমোরি। র‍্যামকে ভোলাটাইল মেমোরি বলা হয় কারন এতে সংরক্ষিত তথ্য বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আর থাকে না। আরো কিছু নন-ভোলাটাইল মেমোরি (যেগুলোতে বিদ্যুত চলে যাওয়ার পরও তথ্য মুছে যায় না) যেগুলো রক্ষনাত্মক দৃষ্টিতে র‍্যাম সেগুলো হল রম, একধরনের ফ্লাশ মেমোরি যাকে নর-ফ্লাশ বলে। প্রথম র‍্যাম মডিউল বাজারে আসে যেটা তৈরী হয়েছিল ১৯৫১ সালে এবং ১৯৬০ দশকে এবং ১৯৭০ দশকের প্রথমদিকে বিক্রি হয়েছিল। যাইহোক, অন্যান্য স্মৃতি যন্ত্রাংশ (চৌম্বকীয় টেপ, ডিস্ক) তাদের জমাকৃত স্মৃতিতে নিশ্চিতভাবে প্রবেশ এবং ব্যবহার করতে পারে সবসময়ের জন্য। রম (ROM কম্পিউটারের একটি স্থায়ী মেমোরি যার ডাটা কম্পিউটার বন্ধ হলে বা বিদ্যুৎ চলে গেলেও ডিলেট হয়ে যায় না.



উইন্ডোজ কম্পিউটারে হয়তো আপনি ভার্চুয়াল মেমোরি অপশনটি দেখে থাকবেন। কিন্তু আজ এর সম্পর্কে একটি সত্যতা জেনে নিন। আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে, আপনার হার্ডড্রাইভ বেশিরভাগ সময়ই অনেক ডাটা রীড ও রাইট করতে ব্যস্ত থাকছে, তবে আপনার কম্পিউটার ভার্চুয়াল মেমোরি হিসেবে হার্ডড্রাইভ ব্যবহার করছে। ভার্চুয়াল মেমোরি তাত্ত্বিকভাবে কম্পিউটার পারফর্মেন্স দ্রুত করতে ব্যবহার করা হয়, কিন্তু ব্যস্তবিক ক্ষেত্রে এটি আপনার কম্পিউটার পারফর্মেন্স স্লো করে দিতে পারে। কেনোনা সহায়ক মেমোরি কখনোই প্রধান মেমোরির মতো দ্রুত গতির হতে পারে না। তাই যদি আপনার কম্পিউটারের প্রধান মেমোরির সাইজ মানে র‍্যামের সাইজ কম হয়ে থাকে তবে তা আপগ্রেড করায় বেস্ট হবে। আরো জানুন- পিসি স্লো হয়ে গেছে? জেনে নিন ঠিক কোন আপগ্রেড পিসি পারফর্মেন্স সর্ব উত্তম করতে পারে



Comments

Popular posts from this blog

নেটওয়ার্ক টপোলজি

কম্পিউটার ভাইরাস